কাওরাইদ কে, এন উচ্চ বিদ্যালয়


অত্র বিদ্যালয়টি গাজীপুর জেলার অন্তর্গত শ্রীপুর উপজেলা হইতে ১৪ কিঃ মিঃ উত্তরে কাওরাইদ রেলওয়ে ষ্টেশনের পূর্ব দিকে অবস্থিত। ইহা গাজীপুর জেলার ২য়, ও শ্রীপুর উপেজলার সর্ব প্রথম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইহা ০১/০১/১৯২৯ সনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক মঞ্জুরী প্রাপ্ত।

ইতিহাস

তৎকালীন জমিদার স্যার কৃষ্ণ গোবিন্দ গুপ্তের (কেজিগুপ্তের) জমিদারীর অন্তর্গত কাওরাইদ রেলওয়ে স্টেশনের সন্নিকটে সুতিয়া নদীর তীরে, ৩.৫২ একর জমির উপর ঐতিহ্যবাহী অত্র বিদ্যালয়টি তাঁর স্বর্গীয় পিতার নামে নামকরণ করেন কাওরাইদ কালী নারায়ন উচ্চ বিদ্যালয়। যা  বর্তমানে কাওরাইদ কে,এন,উচ্চ বিদ্যালয় নামে পরিচিত।

যোগাযোগ

কাওরাইদ কে,এন,উচ্চ বিদ্যালয় ডাকঃ কাওরাইদ,উপজেলাঃ শ্রীপুর,জেলাঃ গাজীপুর। ই-মেইলঃ  kaoraidknhighschool@yahoo.com

কাওরাইদ এর দর্শনীয় স্থান



কবি অতুল প্রসাদ সেনের সমাধীঃ

পঞ্চকবির একজন অতুলপ্রসাদ সেনের সমাধি আছে কাওরাইদে। ঢাকার অদূরবর্তী গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেল এ কথা। সংশয় জাগে মনে, ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী অতুলপ্রসাদের তো চিতা হওয়ার কথা_ সমাধি নয়। স্মৃতি হাতড়ে যতদূর মনে পড়ছিল 'মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা' গানের রচয়িতা অতুলপ্রসাদ সেনের শেষজীবন কেটেছে ভারতের লক্ষেষ্টৗতে। কিন্তু শ্রীপুর থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে কাওরাইদে গিয়ে সুতিয়া নদীতীরে সত্যি অতুলপ্রসাদ সেনের সমাধির দেখা মিলল।
নদীর এক তীরে গাজীপুরের শ্রীপুর, অন্য তীরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও। শ্রীপুরের কাওরাইদ ইউনিয়নের কাওরাইদ গ্রামেই ছিল ভাওয়ালের জমিদার কালীনারায়ণ গুপ্তের কাছারিবাড়ি। এখানেই কালীনারায়ণ গুপ্ত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একটি ব্রাহ্মমন্দির। এই ব্রাহ্মমন্দির লাগোয়া সমাধিতে শুধু অতুলপ্রসাদের নয়_ রয়েছে তার দাদামশাই কালীনারায়ণ ও মামা কেজি গুপ্ত নামে সমধিক পরিচিত স্যার কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্তের সমাধিও। এই কালীনারায়ণের নামেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া হয় কালীনারায়ণ বৃত্তি। বৃত্তিটা কালে কালে এর অর্থমূল্যের কারণে আকর্ষণ হারালেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্নে এই বৃত্তির মূল্য ছিল অনেক। কেজি গুপ্ত ছিলেন প্রথম ভারতীয় প্রিভি কাউন্সিলর ও পূর্ববঙ্গ থেকে প্রথম আইসিএস। 
কালীনারায়ণের কন্যা হেমন্তশশীর পুত্র অতুলপ্রসাদ সেন। ১৮৭১ সালের ২০ অক্টোবর কালীনারায়ণের ঢাকার বাড়িতে অতুলপ্রসাদের জন্ম। তার পৈতৃক বাড়ি
ছিল দক্ষিণ বিক্রমপুরের মাগর-ফরিদপুর গ্রামে। এ গ্রামটি বর্তমানে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলায় অবস্থিত এবং এখন সেখানকার মানুষ গ্রামটিকে আর মাগর-ফরিদপুর নয়, মগর বলে ডাকে। অতুলপ্রসাদের বাবার নাম রামপ্রসাদ সেন। অতি অল্পবয়সেই অতুলপ্রসাদ পিতৃহারা হন
। অতুলপ্রসাদের বাবা রামপ্রসাদ সেন মারা যাওয়ার পর, বছর ছয়েক মা হেমন্তশশী তার ছেলেমেয়েদের নিয়ে বাপের বাড়িতেই থাকতেন। ১৮৯০ সালে ছেলেমেয়েদের রেখে হেমন্তশশী কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলেন বড় ভাই কৃষ্ণগোবিন্দ গুপ্তের কাছে। কয়েক দিন পর হঠাৎ প্রকাশ পেল দেশবন্ধুু চিত্তরঞ্জন দাশের জেঠা ও আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর শ্বশুর সমাজসংস্কারক দুর্গামোহন দাশের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে হেমন্তশশীর। বিয়েটা হয় অত্যন্ত গোপনে। বাংলায় ততদিনে সতীদাহ প্রথা রদ ও বিধবা বিয়ের প্রচলন আন্দোলনে রূপ পেলেও চারদিকে এ বিয়ের খবর বেশ আলোচনার জন্ম দেয়। গভীর আঘাত পান অতুলপ্রসাদও।
যৌবনে অতুলপ্রসাদও মামাতো বোনের সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের মধ্য দিয়ে একই রকমের আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন। ১৮৮২ সালে ব্যারিস্টারি পড়তে বিলেত যান অতুলপ্রসাদ। কিছু পরেই সপরিবারে বিলেতে আসেন তার বড় মামা কেজি গুপ্ত। এই সময় কেজি গুপ্তের মেয়ে, নিজের মামাতো বোন হেমকুসুমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে অতুলপ্রসাদের। হেমকুসুমের গানে, বেহালা-পিয়ানো বাজানোর হাতে মুগ্ধ হন অতুলপ্রসাদ। শুরু হয় তাদের প্রেম। বিলেত থেকে ফিরে আসার পর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। প্রবল অশান্তি শুরু হয় পরিবারে। অতুলপ্রসাদের মা হেমন্তশশীও এই বিয়ের বিরোধিতা করেন। এ কথাও শোনা যায়, অতুলপ্রসাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কোথাও হয়তো কাজ করেছিল মায়ের প্রতি পুরনো অভিমান। তাই সামাজিকভাবে নিষিদ্ধ সম্পর্ক গড়ে প্রতিশোধ নেন তিনি।
কিন্তু বিয়ে হবে কী করে? আইনে তো এমন বিয়ে স্বীকৃত নয়। সত্যেন্দ্রপ্রসন্ন সিংহের পরামর্শে অতুলপ্রসাদ পাড়ি দিলেন স্কটল্যান্ডের গ্রেটনা গ্রিন গ্রামে। সেখানকার রীতিতে ১৯০০ সালে বিয়ে করেন অতুলপ্রসাদ ও হেমকুসুম। অতুলপ্রসাদের মামা থেকে শ্বশুর হয়ে গেলেন স্যার কেজি গুপ্ত। এ ঘটনার অভিঘাত ছিল বহুদূর। বিলেতে আইন ব্যবসা জমাতে ব্যর্থ হন তিনি। এরই মধ্যে ১৯০১ সালে তাদের যমজ পুত্রসন্তানের জন্ম হলে তাদের নাম রাখা হয় দিলীপকুমার ও নিলীপকুমার। বিলেতে পসার জমাতে ব্যর্থ হয়ে এক সন্তান নিলীপকুমারের মৃত্যুর পর ১৯০২ সালে যখন আরেক সন্তান দিলীপকুমারকে নিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থায় তারা কলকাতায় ফিরে এলেন, তখন প্রকাশ্যে একজন আত্মীয়ও পাশে দাঁড়ায়নি। এরপর সপরিবারে লক্ষেষ্টৗতে চলে যান অতুলপ্রসাদ। সেখানে তার আইন ব্যবসায় পসার জমে ওঠে। অতুলপ্রসাদের সঙ্গীতজীবনেও এ পর্বটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ। অবশ্য পারিবারিক জীবনে সুখ আসেনি তার। স্ত্রীর সঙ্গে এখানে এসেই সীমাহীন দূরত্ব তৈরি হয়। ১৯০০ সালে মামাতো বোন হেমকুসুমের সঙ্গে বিয়ের পর অতুলপ্রসাদের মামা স্যার কেজি গুপ্ত ২৫ বছর বেঁচে ছিলেন। কেজি গুপ্তের মৃত্যু হয় ১৯২৬ সালের ২৩ মার্চ। অতুলপ্রসাদও দীর্ঘায়ু পাননি। তার মৃত্যু হয় ১৯৩৪ সালের ২৭ আগস্ট। জীবদ্দশায় মামা-ভাগ্নের মধ্যে যোজন দূরত্ব রচিত হলেও সমাধিতে আছেন তারা কাছাকাছি। পাশেই রয়েছে কালীনারায়ণের নিজের ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সমাধিও।
গাজীপুরের ইতিহাস গবেষক ড. ফরিদ আহমদ জানালেন, সমাধিতে কারোরই মৃতদেহ নেই, চিতাভস্ম রয়েছে। তাদের কেউ লক্ষেষ্টৗ, কেউ আবার লন্ডনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। যে যেখানে মারা গেছেন, সেখানেই তাদের চিতা হয়েছে। পরে চিতাভস্ম এনে কাওরাইদে সমাহিত করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, ব্রাহ্ম ও হিন্দু রীতি অনুযায়ী সবারই পিণ্ডদান করা হয়েছে পাশের সুতিয়া নদীতে। তিনি বলেন, কালীনারায়ণ, কৃষ্ণগোবিন্দ ও অতুলপ্রসাদ_ শ্রেষ্ঠ তিন বাঙালি ও তাদের সমাধিটি পুরোপুরি অরক্ষিত রয়েছে। পাশের ব্রাহ্মমন্দিরটিও অরক্ষিত। তবু মন্দিরকে ঘিরে কাওরাইদে যে ব্রাহ্মসমাজ রয়েছে, তারাই এর রক্ষণাবেক্ষণ করছেন। 
সরেজমিন কাওরাইদে গিয়ে দেখা গেল, ব্রাহ্মমন্দিরটি তালাবদ্ধ। সমাধিতে যাওয়ার একমাত্র গেটেও তালা ঝুলছে। এলাকাটি কাওরাইদ নামে পরিচিত হলেও মন্দিরের ফলকে লেখা আছে কাওরাদি ব্রাহ্মমন্দির। দর্শনার্থীদের আসার খবর পেয়ে এলেন শান্তা পাল। কাওরাইদের সর্বশেষ ব্রাহ্মধর্মানুসারী একমাত্র পরিবারটির কনিষ্ঠ সদস্য শান্তা। তার বড় ভাই দীপক পাল কাওরাইদ ব্রাহ্মধর্ম মণ্ডলীর সাধারণ সম্পাদক।
শান্তা জানালেন, একদা এই কাওরাইদে কিছু সময়ের জন্য এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুরও। পরে শান্তার বড় ভাই দীপক পালের সঙ্গে আলাপ হলে তিনিও একই কথা বললেন। তবে কবে-কখন রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন, তা নিশ্চিত করতে পারলেন না তারা। দীপক পাল বলেন, শুনেছি রবীন্দ্রনাথ ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ট্রেন থেকে এখানে নেমেছিলেন।
গাজীপুরের ইতিহাস গবেষক ফরিদ আহমদ বলেন, কাওরাইদে রবীন্দ্রনাথ এসেছিলেন, এটা এখানকার মানুষের কাছে একটা জনপ্রিয় জনশ্রুতি, প্রামাণ্য কিছু আমাদের জানা নেই। তবে এটা নিশ্চিত যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসে সপ্তাহখানেক থাকার পর ময়মনসিংহে গিয়েছিলেন। 
রবীন্দ্রনাথ ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী ছিলেন। রাজা রামমোহন রায় ১৮২৬ সালে একেশ্বরবাদী মণ্ডলী স্থাপন করে নাম দেন 'বেদান্ত প্রতিপাদ্য ধর্ম'। ১৮৩০ সালের ২৩ জানুয়ারি বুধবার মন্দিরগৃহ প্রতিষ্ঠা করেন। তাই বুধবার ব্রাহ্মদের পবিত্র দিন। পরে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বেদান্ত প্রতিপাদ্য ধর্মের নামকরণ করেন ব্রাহ্মধর্ম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পঞ্চদশ সন্তানের অন্যতম। ১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ যখন ময়মনসিংহে যান, তখন কাওরাইদে ব্রাহ্মধর্মের অনেক বড় মণ্ডলী ছিল। তাই পথে তার যাত্রাবিরতি করা খুব একটা অস্বাভাবিক নয়।
দীপক পাল জানালেন, বর্তমানে কাওরাইদে তাদের পরিবারটি ছাড়া আর কোনো ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী নেই। পাশের গফরগাঁওয়ে রয়েছে আরেকটি পরিবার। তবে উৎসব-আচারে এখনও এখানে সারাদেশ থেকে ব্রাহ্মধর্মের অনুসারীরা জমায়েত হন। সারাদেশে ব্রাহ্মধর্মের অনুসারী পরিবারের সংখ্যা সাকল্যে ২৫ থেকে ৩০টি।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সময় অতুলপ্রসাদ সেনের স্মৃতিফলকটি পাকিস্তানি সৈন্যরা গুলি করে ভেঙে ফেলেছিল। তখন স্মৃতিফলকে তার 'মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা' গানের চরণটি লেখা ছিল। তার মতে, ব্রাহ্মমন্দির ও অতুলপ্রসাদ, স্যার কেজি গুপ্তসহ অন্য মনীষীদের সমাধিস্থল রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত স্থানে পরিণত হতে চলেছে। তিনি এই স্থানটি সংরক্ষণের জন্য জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন বলে জানালেন।
কিভাবে যাওয়া যায়:
উপজেলা থেকে সি,এন,জি যোগে ২৫ কিঃ মিঃ দূরে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সাথে কবি অতুল প্রসাদ সেনের সমাধী।

কাওরাইদ এর ইতিহাস


শ্রীপুরের ঐতিহাসিক পটভূমি যুগে বিভিন্ন রাজবংশের শাসনের ক্রমঃ বিবর্তনের বৈশিষ্ট্যে অলংকৃত সম্ভবতঃ মহারাজাধিরাজ শশাংকের রাজত্বকালে ইহা প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইতিহাস বেত্তাগণ অনুমান করেন যে, আনই ভৌমিক বলিয়া প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের সমস্ত রাজা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ভালুকা-গফরগাঁও ও শ্রীপুরের উত্তারাঞ্চলের রাজা ছিলেন। তাহার রাজবাড়ি ছিল ফুলবাড়িয়া বানার নদীর তীরে। মহারাজা ধীরাজ শশাংকের পর বাংলাদেশে গোলাপ নামে এক রাজা, বৌদ্ধ রাজত্বের স্থাপন করেন। ঐ সময় হতে সম্ভবতঃ এই অঞ্চলে বৌদ্ধ রাজত্বের সৃষ্টি হয়। ১০৫০ সালে বিখ্যাত সুফী সাধক শাহ সুলতান কমরুদ্দিন রুমী যখন নেত্রকোনায় মদনপুরে আসেন, প্রাগ জ্যেতিষপুর রাজ্যের সমস্ত রাজা মদন গারোর রাজ্যে আস্তানা স্থাপন করেন। এর প্রায় অর্ধ শতাব্দীর পর ভাওয়ালের সুফী সাধক শাহ কারফরমা শাহ ইসলামের মহান বাণী নিয়ে ভাওয়ালে আসেন। তখনও শ্রীপুর এলাকা দুইটি ছোট বৌদ্ধ রাজত্বে বিভক্ত ছিল। একজন ইন্দ্রপাল রাজধানী ইন্দ্রপুরে যা আধুনিক মাওনার নিকট অবস্থিত । অপরজন ভবপাল । তার রাজধানী ছিল রাজাবাড়ী ইউনিয়নের চিনাইশুখানিয়া গ্রামে। সম্ভবত: অষ্টম শতাব্দীতে রাজা ইন্দ্রপাল ইন্দ্রপুর ও তার আশেপাশের এলাকা নিয়ে স্বাধীন রাজ্য গঠন করেন। এটা আদিত্যপালের দীঘি নামে পরিচিত। বর্তমান প্রচলিত নাম ওয়াদ্দা দীঘি। তৎপুত্র রাজা শ্রীপালের নাম অনুসারে শ্রীপুর মৌজার নামকরণ করা হয়। মৌজার নাম অনুসরণ করে শ্রীপুর উপজেলার নামকরণ করা হয়। অভিধানিক অর্থে শ্রী-অর্থ সৌর্ন্দয্য,পুর -অর্থ নগরী অর্থাৎ সৌন্দর্য্যের নগরী।শ্রীপুর উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিঃমিঃ উত্তরে কাওরাইদ ইউনিয়ন অবস্থিত। প্রাগ ঐতিহাসিক কাল থেকে অত্র ইউনিয়ন ব্যবসা-বানিজ্যে দ্বারা অগ্রগামী। এখানে ঐদিহাসিক পুরাতন একটি বিদ্যালয় রয়েছে। আছে একটি প্রাচীন কাচারী ঘর।

আমাদের কাছে লিখুন আপনার কাওরাইদের শৈশবের গল্প আর আমরা তা পোস্ট করবো আপনার হয়ে।



আমাদের কাছে লিখে পাঠান আপনাদের মতামত আর কথা গুলো।
আমরা প্রকাশ করবো আপনার কথা সবার সাথে আর স্মৃতিময় দিনগুলো মনে করিয়ে দিবে সবার শৈশব।
বিস্তারিত ফেসবুক পেজ এ দেখুন।